বর্তমানে পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি আমাদের কাছে এক বিশাল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
আমার ভ্যারিফিকেশনের আগে আমিও ভয়ে ছিলাম। আসলে ব্যাপরটা অতটা কঠিন না।
পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি (Payoneer Account Verification)
পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি এর বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার দেয়া গাইড লাইন গুলো ঠিক ভাবে ফলো করলে আপনিও খুবই অল্প সময়ের মধ্যে Payoneer Account ভেরিফাই করে ফেলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল।
ভ্যারিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে :
১| পেওনিয়ার ভ্যারিফিকেশন এর জন্য আপনার পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা স্মার্ট কার্ড লাগবে।
২| স্মার্ট কার্ড ছাড়াও পুরোনো জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যাবহার করে আপনি একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন।
ভ্যারিফিকেশন করার পদ্ধতি:
প্রথমত :
আপনার যদি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা স্মার্ট কার্ড থাকে তবে সেটার একটা স্ক্যান কপি পেওনিয়ার এর সাপোর্ট মেইলে পাঠিয়ে দিন।
মনে রাখবেন, আপনার ডকুমেন্টের সাইজ যেন ৩ মেগাবাইটের বেশী না হয়।
অবশ্যই স্ক্যান করা কপি পাঠাবেন। মোবাইল দিয়ে তুলা ছবি পাঠানো থেকে বিরত থাকবেন।
কার্ডের সামনের অংশ ও পেছনের অংশ ২ টি অংশই স্ক্যান করতে হবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস কি? কিভাবে WordPress দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার গাইড লাইন
দ্বিতীয়ত :
আপনার যদি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা স্মার্ট কার্ড না থাকে তবে আপনি পুরোনো আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে, আপনার পুরাতন আইডি কার্ডের ২টি অংশের একটি স্ক্যান কপি নিবেন।
তারপর একটি কাগজে ভ্যারিফিকেশন এর তারিখ লিখবেন এবং কাগজের একদম উপরে লিখবেন “Payoneer”।
এরপর একহাতে কাগজটি এবং অন্য হাতে পুরোনো আইডি কার্ডটা নিয়ে নিজের একটা ছবি তুলবেন (উপরে দেওয়া ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে ছবি তুলতে হবে)।
এরপর এই ছবিটা এবং আইডি কার্ডের স্ক্যান করা কপিটি পেওনিয়ার এর সাপোর্ট মেইলে পাঠিয়ে দিবেন। আমি এভাবেই আমার Payoneer Account Verification করেছি।
তৃতীয়ত :
এরপর পেওনিয়ার এ লগইন করে Contact us এ যাবেন।
সেখানে Call us নামে একটা অপশন আছে, ক্লিক করলে কল করার জন্য কয়েকটা নাম্বার দেখাবে।
ওখানে একটা নাম্বার আছে USA এর বাইরে থেকে কল করার জন্য।
এরপর গুগল এর হ্যাংআউট দিয়ে সেই নাম্বারটাতে কল দিতে হবে।
কল দেয়ার পর প্রথমে ইংরেজি ভাষা সিলেক্ট এর জন্য ১ প্রেস করতে বলবে।
এরপর আপনার পেওনিয়ার এর কাস্টমার আইডি দিতে বলবে, বাটন প্রেস করে কাস্টমার আইডি দিবেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই একজন কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কলটি গ্রহন করবে।
তাকে বলবেন যে আপনি একাউন্ট ভেরিফাই করতে চান।
এরপর সে আপনার জন্ম তারিখ জানতে চাইবে (যেটা পেওনিয়ার এবং আপনার মেইল করা ডকুমেন্টস এ দেয়া আছে সেটা)।
জন্মতারিখ বলার পর পেওনিয়ার এ দেয়া আপনার ৩ টি সিকিউরিটি কোশ্চেন থেকে যেকোনো একটির উত্তর জানতে চাইবে।
এজন্য কল করার আগে ৩ টি সিকিউরিটি কোশ্চেন এর উত্তরই শিওর হয়ে নিবেন।
সিকিউরিটি কোশ্চেন এর উত্তর দেয়ার পর কাস্টমার ম্যানেজার জানতে চাইবে আপনি ভ্যারিফিকেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পাঠিয়েছেন কি না।
আপনি বলবেন “হ্যাঁ, আমি মেইল করে পাঠিয়েছি”।
এরপর সে আপনার কাছ থেকে কিছুক্ষণ সময় নিবে ডকুমেন্টস গুলো চেক করার জন্য।
চেক করার পর আপনার সকল ডকুমেন্টস যদি ঠিক থাকে তখন সাথে সাথেই সে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই করে দিবে।
ফাইনালি :
ফটোশপে তৈরি করা কোন ডকুমেন্টস দিলে কাজ হবে না।
আর বেআইনি কিছু করে কেউ দেশের সুনাম নষ্ট করবেন না দয়া করে।
আপনি হয়তো একজনকে ফাঁকি দিতে পারবেন।
কিন্তু আল্টিমেটলি এটা দেশের হাজার হাজার মানুষের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। অনলাইনে নিজে সেইফ থাকুন অন্যকে সেইফ থাকতে সহযোগিতা করুন।
আশাকরি,
পুরো বিষয়টি বুঝতে পারছেন। পুরো বিষয়টি আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।
অন্য কারো অভিজ্ঞতা হয়তো কিছুটা ভিন্নও হতে পারে।
পরামর্শ : সবশেষে বলব পেওনিয়ার কিংবা মার্কেটপ্লেসে এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আপনার একটা খারাপ কাজের জন্য দেশের নাম ছোট হয়।
সর্তকতা : Payoneer Account Verification এর জন্য অবশ্যই অরিজিনাল ডকুমেন্টস ব্যবহার করবেন।
উপসংহারে,
পরিশেষে বলা যায় যে, পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি – Payoneer Account Verification সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
সর্বোপরি উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো মেনে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ আপনি সফল ভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করতে পারবেন।
virtual assistant এর কাজ করে ঘরে বসে আয় করার উপায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করব আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিন।
তাছাড়া আমার লেখা ফাইভার ব্যবহারের শর্তাবলী কি? পোস্টটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।
আমরা এই পোস্টে জানলাম, পেওনিয়ার একাউন্ট ভ্যারিফিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে।
এই পোস্টের বিষয়ে আপনার কিছু জানার থাকলে বা কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই লাইক দিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভাল থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোস্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন।
পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। এই ধরণের লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে এবং টুইটারে ফলো করে রাখতে পারেন।
ধন্যবাদ